ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০১/০৫/২০২৪ ৮:১০ এএম

অবিবাহিত বলে চাকরি নিয়ে ফেঁসে গেলেন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আল ইমরান হোসেন। সরকারি তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। স্ত্রীর অভিযোগের পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে এক বছরের জন্য একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড তাকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইমরান হোসেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আল ইমরান হোসেন চাকরিতে যোগদানের পূর্বে আরিফা আক্তার গোধূলীকে চারলাখ টাকা দেনমোহরে ২০১১ সালের মাঝামাঝি বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকার সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে অবস্থিত গেরুয়া গ্রামে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। ইমরান হোসেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদের জন্য একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত মর্মে তথ্য দেন। তিনি ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ)-এ যোগদান করেন এবং বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন। তিনি চূড়ান্তভাবে সুপারিশকৃত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের সময়ও নিজেকে অবিবাহিত তথ্য দেন। পুলিশ একাডেমি সারদায় ট্রেনিং শেষে বিবাহের অনুষ্ঠান করবেন মর্মে অভিযোগকারীকে (স্ত্রী) আশ্বাস দেন। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন ডাটাবেজে নিজেকে অবিবাহিত মর্মে তথ্য দেন। তার শিক্ষানবিসকাল শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি হলেও সেখানে তথ্য ফরমে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান হোসেন সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করে সিলেটে শিক্ষানবিস হিসেবে বদলি হন। কিন্তু স্ত্রীর কাছে তার অবস্থান কখনও সিলেট বা চট্টগ্রাম মর্মে মিথ্যা তথ্য দেন। তার এরূপ কর্মকান্ড সম্পর্কে অভিযোগকারী (স্ত্রী) রংপুরের পুলিশ কমিশনারকে অবগত করেন। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ইমরানের ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত শুনানীর দিন ধার্য্য করা হলেও তিনি তাতে উপস্থিত হননি। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এরপরই সরকারি কর্মচারি আইন অনুযায়ী আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে একবছরের জন্য ‘একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার’ লঘুদন্ড প্রদান করা হলো। তিনি ভবিষ্যতে উক্ত মেয়াদের কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। তাছাড়া এই মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ১

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে উত্তীর্ণ হলেও মৌখিকে ধরা ...

গহীন পাহাড়ে কঠোর প্রশিক্ষণ, যা বললেন কুকি চিনের আকিম বম

বান্দরবানে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী শাখার বান্দরবান সদর ও ...

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...